চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির সভায় এবার গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিয়মিত সমিতির চাঁদা, চেম্বারের বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া পরিশোধ না করায় ৮৬৭ জন আইনজীবীর সদস্যপদ ও ৮৩টি চেম্বার বরাদ্দ বাতিলের মতো বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন সমিতির এডহক কমিটি।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বিকেলে সমিতির এডহক কমিটির সভায় সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সমিতির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সমিতির গঠনতন্ত্রের ৯(১), ৯(২) ও ৯(৩) ধারা অনুযায়ী যেসব সদস্য দীর্ঘদিন ধরে চেম্বারের ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেননি, ডিফল্টার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন কিংবা অন্য চৌকিবারে সদস্যপদ থাকা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম সমিতিতে সদস্য থেকে চেম্বার বরাদ্দ ও এমবি ফান্ডের সুবিধা ভোগ করেছেন—তাদের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
এছাড়া, যারা সমিতির চাঁদা পরিশোধ করেননি এবং চেম্বারের ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল বকেয়া রেখেছেন, তাদের সদস্যপদ ও চেম্বার বরাদ্দ বাতিল করা হয়েছে। কিছু সদস্য চৌকিবারে সদস্যপদ রেখে সমিতির সুবিধা গ্রহণ করায় তাদেরও চেম্বার বরাদ্দ বাতিল হয়েছে।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়, বিভিন্ন ব্যাংকে স্থিত এফডিআর থেকে নগদায়ন করা অর্থ পুনরায় পুনঃবিনিয়োগ (এফডিআর) করা হবে।
এডহক কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ বলেন, “ডিফল্টারদের ঋণ স্থগিতকরণ ও দীর্ঘদিন চেম্বারের বিদ্যুৎ বিল ও ভাড়া পরিশোধ না করা আইনজীবীদের বিষয়ে আমার এখতিয়ার ছিল।
৫৭ জন সদস্য তাদের চাঁদা পরিশোধ করেছেন, কিন্তু ৬০৮ জন তা করেননি। মাত্র ২৮ জন চেম্বার ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেছেন। তাই বাকি সদস্যদের সদস্যপদ ও চেম্বার বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
এডহক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মকবুল কাদের চৌধুরী বলেন, “আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অপেশাদার আইনজীবীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছি।
এবি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকে সমিতির প্রায় ৪১ কোটি টাকা এফডিআর আকারে জমা রয়েছে।
এর মধ্যে কয়েকটি ব্যাংক থেকে প্রায় ১০ কোটি ১১ লাখ টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি। বাকি অর্থ উদ্ধার ও নতুনভাবে সঞ্চয়ের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতিকে একটি স্বাবলম্বী ও সুশৃঙ্খল সংগঠনে পরিণত করা।”
মকবুল কাদের চৌধুরী জানান, আগামী ১৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ নির্বাচন। সমিতির বর্তমান সদস্য সংখ্যা ৭ হাজার ৫২১জন।
এরমধ্যে গতকাল ৯ এপ্রিল ৮৬৭ জন আইনজীবীর সদস্যপদ বাতিল হয়। তারা ডিফল্টার থাকায় সমিতির গঠনতন্ত্র মোতাবেক পূর্বে ঘোষিত সমিতির ভোটার তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভূক্ত হয়নি। ফলে হওয়ায় তারা এ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন না।