চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান এলাকায় বিভিন্ন হোটেল রেস্তোরাঁতে পচাঁ বাসি ও অনুন্নত খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ এর দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারি কমিশনার (ভুমি ) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক এর নেতৃত্বে ০৮.১০.২২ তারিখ শনিবার সকালে হোটেল-রেস্তোরার নিবন্ধন, খাবারের গুণগত মান ও সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতকল্পে চট্টগ্রাম মহানগরের জামালখান এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। এইসময় প্রত্যেকটা রেস্তোরায় দেখা যায় তারা পচা বাসি খাবার পরবর্তীতে পরিবেশনের জন্যে ফ্রিজে সংরক্ষণ করছে। এছাড়াও খাবার সুস্বাদু করনে ব্যবহৃত বিভিন্ন ক্ষতিকর প্রিজারবেটিভ এবং বিষাক্ত রং রান্নাঘরে পাওয়া যায়। এ সময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত, পরিবেশন, পঁচা ও মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পরিবেশনের নিমিত্ত সংরক্ষণ, নর্দমার পাশে রান্না ঘর স্থাপন, পোড়া তৈল ব্যবহার এবং লাইসেন্স বিহীন ব্যবসা পরিচালনার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় সাফরান রেস্টুরেন্টকে ২০ হাজার টাকা, ব্লু ওশান রেস্ট্রুরেন্ট কে ৫ হাজার টাকা, মোগল দরবার কে ২ হাজার টাকা, হোটেল আলীকে ২ হাজার টাকা এবং একটা বেনামী হোটেলকে ১ হাজার টাকাসহ মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া আজ বেলা ১১.৩০ ঘটিকা থেকে সরাইপাড়া,পাহাড়তলী এলাকায় বিএসটিআই ও ভোক্তা অধিকার আইনের উপর বিভিন্ন বেকারিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বাকলিয়া সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারি কমিশনার (ভুমি ) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস. এম. এন. জামিউল হিকমা। এ সময় ঢাকা বেকারি ওয়ান কে ভোক্তা অধিকার আইন, ২০০৯ এর ৪২ ও ৫১ ধারা মতে ২০ হাজার টাকা, মারিয়া ফুড প্রোডাক্ট ও ঢাকা বেকারি কে বিএসটিআই আইন,২০১৮ এর ৩০ ধারা মতে ৪০ হাজার টাকাসহ মোট ৬০ হাজার টাকা অর্থ দন্ড আরোপ করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে CMP সদস্যগণ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, ক্যাব চট্টগ্রাম প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন।
অপরদিকে নগরীর লালখানবাজার, ওয়াসা, খুলশি, বায়েজিদ এলাকায় এবং সরাইপাড়া,পাহাড়তলী এলাকায় পৃথক পৃথকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। নগরীর লালখান বাজার এলাকায় বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধি, পরিদর্শক, মোঃ জিল্লুর রহমান এর উপস্তিতিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন জেলা প্রশাসকের সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুন । এসময় তিনি মেয়াদ উত্তীর্ণ পন্য, লাইসেন্স বিহীন পন্য বিক্রয় এর অপরাধে আদিয়াত ডিপার্টমেন্টাল স্টোর কে ১০ হাজার টাকা এবং অন্য এক মুদিদোকান কে ৫ হাজার টাকাসহ মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। তাছাড়া মুরাদপুর ২ নং গেইট কর্ণফুলী বাজারের সকল ওজন পরিমানের মেশিন চেক করা হয়। রহমান এন্ড কোং নামক পেট্রল পাম্পসহ আরও কয়েকটি তেলের পাম্পে সঠিক পরিমাপে তেল বিক্রি করছে কিনা বিএসটিআইয়ের প্রতিনিধির দ্বারা পরীক্ষা করে সর্তক করে দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে কাট্টলী সার্কেল ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার ( ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সাধারন জনগনের কথা বিবেচনা করে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখা হবে।