Logo
বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমস ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে-বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ও উপ-সচিব ওএসডি বাবরসহ ৬ জন খালাস, পরেশ বড়ুয়াসহ ৫ জনের সাজা কমল লোহাগাড়ায় অনলাইন জুয়া খেলাকে কেন্দ্র করে এক বন্ধুকে হত্যার অভিযোগ, জড়িত সন্দেহে তিন বন্ধু আটক লোহাগাড়ায় দখলীয় জায়গা জোরপূর্বক দখল প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন লোহাগাড়ায় নিরাপদ মহাসড়ক ও দূর্ঘটনা রোধকল্পে মতবিনিময় সভা দলীয় নেতাকর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা এসএম আবু তাহের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে দলকে সুসংগঠিত করুনঃ নাজমুল মোস্তফা আমিন রোগীদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে, মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবেঃ ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বটতলী স্টেশনে যানজট নিরসনে কঠোর অবস্থানে লোহাগাড়া বটতলী শহর পরিচালনা কমিটি

কক্সবাজারে অপহরণের ৪৮ ঘন্টা পর  সিএনজি চালক উদ্ধার

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

ককক্সবাজার থেকে অপহৃত হওয়া সেই অটোরিকশা চালককে রামুর রাজারকুলের উমখালীর গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে হাত পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময মো, শাহাব উদ্দিন ওরফে ইকবাল (২৮) নামে অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকেও আটক করা হয়।

অপহৃত জাহেদ হোসাইন উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের গায়ালা মারা এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে।

সোমবার (২৫ মার্চ) ভোরে চালককে হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।

ঘটনার বিবরণে  জানা যায়, স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক নারী ও পুরুষ কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া নেন। তারপর নিয়ে যাওয়া হয় লিংরোড এলাকায়। সেখানে চালক জাহেদ হোসাইন (২৫) কে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় গহীন পাহাড়ে। সেখানে গিয়ে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করে চাওয়া হয় ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ।

ছায়া তদন্ত শেষে ৪৮ ঘন্টা ধরে র‍্যাবের একটি দল স্থানীয় গ্রামবাসীর সহায়তায় রামুর রাজারকুলের উমখালীর গহীন পাহাড়ি এলাকায় ব্লক রেইড অভিযান চালায়।

অপহৃত রিকশাচালকের বড় ভাই ছৈয়দ হোসেন জানান- বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে এক নারী ও পুরুষ জাহেদকে যাত্রী সেজে কলাতলী থেকে রামুর কলঘর বাজার যাবার জন্য ভাড়া করে। লিংকরোড এলাকায় পৌঁছানোর পর জাহেদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে, জাহেদের ফোন থেকেই পরিবারকে একাধিকবার ফোন করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। সর্বশেষ অপহরণকারীরা জানায় ২৫ মার্চ রাতের মধ্যে অর্থ না দিলে জাহেদকে কেটে টুকরো টুকরো করে লাশ পাঠিয়ে দেয়া হবে। এ পরিস্থিতিতে তারা (জাহেদের স্বজনেরা) র‍্যাবের শরণাপন্ন হন।

র‍্যাব কর্মকর্তারা জানায়-অপহরণের পর থেকেই তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে র‍্যাবের অভিযানের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়। এ সময় পাহাড়-অরণ্য বেষ্টিত এলাকায় অপহরণকারীদের অবস্থানস্থল চিহ্নিত করে কয়েক শত গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীদের আস্তানা ঘিরে ফেলে সেখানে ব্লক রেইড অভিযান পরিচালনা করে র‍্যাব। একপর্যায়ে ২৫ মার্চ ভোরে অভিযানকারীদের উপস্থিত আঁচ করতে পেরে অপহৃত জাহেদকে অকুস্থলে রেখেই সটকে পড়েন অপহরণকারী চক্রের বেশিরভাগ সদস্য। এ সময় দুর্গম পাহাড়ি ঢাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জাহেদকে উদ্ধারের পাশাপাশি এক অপহরণকারীকে হাতেনাতে আটক করা হয়।

আটককৃত ব্যক্তির নাম মো, শাহাব উদ্দিন ওরফে ইকবাল (২৮)। সে কক্সবাজারের রামুর উমখালী এলাকার মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে।

কক্সবাজার র‍্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, অপহৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদেরকে আটকের লক্ষ্যে র‍্যাব ১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেনের নির্দেশে আমরা এই অভিযানের পরিকল্পনা করি। কক্সবাজার থেকে অপহরণ মুক্তিপণের এই চক্র নির্মূলে র‍্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

সিএসপি/বিআরসি


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ