চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আব্দুস সবুর লিটন, জননেতা এম এ আজিজের ৫২তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর কবরে মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর পক্ষে পূস্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে তিনি বলেন, জননেতা এম এ আজিজ ছিলেন জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম রাজনৈতিক সহচর। এম এ আজিজ বঙ্গবন্ধুর ৬ দফাকে এক দফায় পরিণত করে বাঙ্গলি জাতি সত্তার ইতিহাসে আপন মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে আছেন। বঙ্গবন্ধু এম এ আজিজকে চট্টগ্রামের রাজনীতির অভিভাবক হিসেবে মনে করতেন। বাঙ্গালির মুক্তির সনদ ৬ দফা বাস্তবায়নের পকিস্তানের শাসক গোষ্ঠির যখন অসম্মতি ও নানা ধরণের যড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় তখন এম এ আজিজই বলেছিলেন ৬ দফা বাস্তবায়নে কোন ধরণের যড়যন্ত্র বরাদাস্ত করা হবে না। তাই ৬ দফা নয় বাঙ্গালি এক দফা দাবী নিয়ে পশ্চিম পকিস্তান স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে। বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর এম এ আজিজ ছিলেন সত্যিকার অর্থে একদফার প্রবক্তা। আজ বুধবার সকালে হালিশহরের’ জননেতা এম এ আজিজের কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে গিয়ে তিনি একথা বলেন।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র আরো বলেন, চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান এম এ আজিজের রাজনৈতিক জীবন থেকে শিক্ষা নিতে পারলে আগামী দিনে বঙ্গবন্ধুর কাঙ্খিত সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ রুপান্তরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীদের তৈরী হতে আহ্বান জানান। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থি’ত ছিলেন- এসময় উপস্থি’ত ছিলেন কাউন্সিলর নুর মোস্তাফা টিনু, আবদুল মান্নান, লায়ন মো. ইলিয়াছ, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত।
এছাড়া ভারপ্রাপ্ত মেয়র আব্দুস সবুর লিটন তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের প্রথম দিনে চসিক অস্থয়ী নগর ভবনের সম্মূখ চত্বরে পিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পুস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর নুর মোস্তাফা টিনু, সংরক্ষিত কাউন্সিলর রুমকী সেনগুপ্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খালেদ মাহমুদ, প্রধান হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, উপ-সচিব আশেক রসুল চৌধুরী টিপু, সিবিএ‘র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাহিদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।