রায়হান সিকদার,লোহাগাড়া প্রতিনিধিঃ
অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেছেন, আলিফ দ্বিতীয় প্রজন্মের যুদ্ধেত্তোর বাংলাদেশ উপহার দিতে রাজপথে সহকর্মী ছিলেন। বাংলাদেশ বার কাউন্সিল মনে করেন, বংলাদেশের প্রতিটি আইনজীবী তাদের সহযোদ্ধা, তাদের ভাই, তাদের বোন, তাদের আত্মার আত্মীয়। আলিফ একইভাবে বাংলাদেশের ৭০ হাজার আইনজীবী পরিবারের সদস্য, বাংলাদেশ বারকাউন্সিল সেই পরিবারের সদস্যকে হারিয়ে অত্যন্ত শোকাহত মর্মাহত।
অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আলিফের জন্মভূমির কাছে, তার পিতা মাতার কাছে, ভাই-বোনদের কাছে, আপনাদের কাছে – এই মর্মে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ আলিফের হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত বিচার আমরা করবই। আলিফের হত্যাকারী যেই হোক, যতই শক্তিশালী হোক, হত্যাকারীরা আইনের আওতার বাহিরে যেতে পারবে না বলে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ইতিমধ্যেই আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি। সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যেটা করণীয়, সেটা আমারা করছি। আলিফ যেমন তার পিতার সন্তান, তেমনিই আলিফ আমাদের পরিবারের গর্বিত সদস্য ছিলেন। আমরাও আলিফের আরেকটি পরিবার হিসেবে পাশে থাকবো।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা দুইটায় চট্টগ্রামের লোহাগাড়া চুনতি ফারাঙ্গা এলাকায় এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফের কবর জেয়ারত ও পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে গণমাধ্যমে দেওয়া সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, অতিরিক্ত এ্যাটর্নী জেনারেল আরশাদুর রউফ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মাহফুজুর রহমান মিলন, ব্যরিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, বার এসোসিয়শনের সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন, ডেপুটি এ্যাটর্নী জেনারেল ফরিদ উদ্দীন খান, সাতকানিয়া লোহাগাড়ার সাবেক সংসদ সদস্য,চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামী আমীর আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী,লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন,উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আসহাব উদ্দিন চৌধুরী, লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ইনামুল হাসান।
উল্লেখ্য,গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আইনজীবীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম কমিউনিটি হল সংলগ্ন এলাকায় চিন্ময়ের অনুসারীরা আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে জানা গেছে।