Logo
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:১৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম:
লোহাগাড়ায় দখলীয় জায়গা জোরপূর্বক দখল প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন লোহাগাড়ায় নিরাপদ মহাসড়ক ও দূর্ঘটনা রোধকল্পে মতবিনিময় সভা দলীয় নেতাকর্মীদের ভালবাসায় সিক্ত হলেন সাবেক ছাত্রদল নেতা এসএম আবু তাহের শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ ধারণ করে দলকে সুসংগঠিত করুনঃ নাজমুল মোস্তফা আমিন রোগীদের সাথে ভাল ব্যবহার করতে হবে, মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবেঃ ডাঃ মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বটতলী স্টেশনে যানজট নিরসনে কঠোর অবস্থানে লোহাগাড়া বটতলী শহর পরিচালনা কমিটি বাংলাদেশ হেলথ এসিসট্যান্ট এসোসিয়েশন লোহাগাড়া উপজেলা কমিটি গঠনঃ সভাপতি কালাম, সম্পাদক মোমেন  চট্টগ্রাম বন্দরে বার্থ অপারেটর-শিপিং এজেন্ট দ্বন্দ্ব, নিরসনের চেষ্টা কর্তৃপক্ষের অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজা লোহাগাড়ায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ নবজাতকের জন্ম

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে সশস্ত্র বাহিনী : প্রধানমন্ত্রী

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সশস্ত্র বাহিনী আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে । দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আস্থার প্রতীক হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিকায়নে তাঁর সরকারের নানা উদ্যোগের কথাও জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।

রোববার (২০ নভেম্বর) দেওয়া এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। আগামীকাল ২১ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২২’উপলক্ষে তিনি এই বাণী দেন।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং বিভিন্ন জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। এভাবে সশস্ত্র বাহিনী আজ জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে।

‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২২’ উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দিনে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সকল শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।’

শেখ হাসিনা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী, সাহসী এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে ২৩ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতা অর্জন করে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর একটি বিশেষ গৌরবময় দিন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা এ দিনে সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে একতাবদ্ধ হন। দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১ এ নভেম্বর সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালন করা হয়।’

জাতির পিতা স্বাধীনতার পর একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেনাবাহিনীর জন্য তিনি মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আর্মড স্কুল ও প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং স্কুলসহ আরও অনেক সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিট গঠন করেন। তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ঘাঁটি ঈসা খাঁ উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৎকালীন যুগোশ্লাভিয়া থেকে নৌবাহিনীর জন্য দুটি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়। বিমান বাহিনীর জন্য তিনি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সুপারসনিক মিগ-২১ জঙ্গি বিমানসহ হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান ও রাডার সংগ্রহ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীকে দেশে ও বিদেশে উন্নততর প্রশিক্ষণ প্রদানসহ আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করছি। জাতির পিতার নির্দেশে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের উপযোগী ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কার্যক্রমসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে যাবেন। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাল্লাহ।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুক পেইজ