আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য চীনের পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
বুধবার (১৫ মে) প্রকাশিত এক সাক্ষাতকারে তিনি এই সমর্থন জানান।
পুতিন বলেন, এই সংকটের নেপথ্যে কী রয়েছে তা বেইজিং পুরোপুরি বুঝতে পেরেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
চলতি সপ্তাহে বেইজিং সফরের পূর্বে চীনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়াকে পুতিন বলেছেন, দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের সমাধানে রাশিয়া সংলাপ ও আলোচনার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
পুতিন বলেন, চীনের পরিকল্পনা ও চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং গত মাসে আরও যেসব নীতি প্রকাশ করেছেন সেগুলোতে এই সংঘাতের কারণগুলোকে আমলে নেয়া হয়েছে।
ক্রেমলিনের ওয়েবসাইটের প্রকাশিত সাক্ষাৎকারের রুশ সংস্করণ অনুসারে পুতিন বলেছেন, ইউক্রেন সংকটের সমাধানে চীনের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আমাদের পর্যালোচনা ইতিবাচক।
রুশ প্রেসিডেন্ট বলেছেন, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎসের সঙ্গে আলোচনায় শি জিনপিং আরও যেসব নীতি তুলে ধরেছেন তা ছিল শীতল যুদ্ধের মানসিকতা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় বাস্তবিক ও গঠনমূলক পদক্ষেপ।
প্রায় এক বছরের বেশি সময় আগে বেইজিং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য ১২ দফার একটি শান্তি পরিকল্পনা হাজির করেছিল। এতে মূলত সাধারণ নীতিগত বিষয় তুলে ধরা হয়, বিস্তারিত নয়।
ওই সময় রাশিয়া ও ইউক্রেনের পক্ষ থেকে মোটাদাগে পক্ষে বা বিপক্ষে কোনও অবস্থান আসেনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, চীন নিজেকে শান্তি স্থাপনকারী হিসেবে হাজির করছে। কিন্তু তারা রাশিয়ার মিথ্যা আখ্যান তুলে ধরছে এবং ইউক্রেনে আক্রমণের জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত মাসে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছিলেন, চীনের প্রস্তাব একটি যৌক্তিক পরিকল্পনা।
চীনা প্রেসিডেন্ট যে অতিরিক্ত নীতি তুলে ধরেছেন সেটির মধ্যে রয়েছে পরিস্থিতি শান্ত করা, শান্তি স্থাপনের শর্ত ও স্থিতিশীলতা তৈরি এবং বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব কমানো।
রাশিয়া মনে করে, এই সংঘাত সমন্বিত পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে। যে পশ্চিমা বিশ্ব মস্কোর নিরাপত্তা উদ্বেগকে আমলে নেয়নি। মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটোর পূর্ব ইউরোপে সম্প্রসারণ ও রুশ সীমান্তের কাছে সামরিক কর্মকাণ্ড এই নিরাপত্তা উদ্বেগ তৈরি করেছে।
রাশিয়ার দাবি, ইউক্রেনকে নিরস্ত্রীকরণ ও ফ্যাসিবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করতে ‘বিশেষ অভিযান’ পরিচালনা করছে মস্কো। ইউক্রেন ও পশ্চিমারা বলছে, ফ্যাসিবাদের অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং যুদ্ধটি উসকানি ছাড়াই আক্রমণ।
সিএসপি/বিআরসি